নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ ও নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ

নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ

নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয়। মুসলমানদের প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। নামাজ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মুসলমানদেরকে আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে, আল্লাহর কথা শুনতে এবং নবীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার অনুমতি দেয়। আজকের এই লিখায় নামাজ ভঙ্গের কারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

 

নামজের ওয়াক্ত

দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নাম হলঃ

 

  • ফজরঃ সূর্যোদয়ের আগ মুহূর্তে যখন ভোরের আলো ফুটে।
  • জোহরঃ দিনের মধ্য ভাগে, যখন সূর্য একদম আসমানের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে।
  • আসরঃ বিকাল বেলায় আদায় করতে হয়।
  • মাগরিবঃ সূর্যাস্তের পর আদায় করতে হয়।
  • এশাঃ সূর্যাস্তের পর থেকে মধ্যরাতের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করতে হয়।

 

নামাজের দায়িত্ব

নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সংস্পর্শে এলে মুসলমানদের অবশ্যই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। এগুলি হল:

 

  • ওযু সম্পাদন করা
  • প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে পাঁচবার নামায আদায় করা।
  • মক্কার মুখোমুখি হয়ে বা কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো।
  • কিছু নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করতে হবে যার মধ্যে রয়েছে দাঁড়িয়ে থাকা, রুকু করা, সিজদাহ করা এবং বসে থাকা।
  • আরবী ভাষায় সুরাহ আবৃত্তি করা।

 

নামাজ ভঙ্গের কারণ

 

বিভিন্ন কারণে নামাজ ভঙ্গ হতে পারে, যেমনঃ

 

কথা বলা

এমন কোন কথা যা দুই অক্ষর বা এক অক্ষরের ও হতে পারে, যদি যা বোধগম্য হয়ে তাহলে আপনার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে, বলা ই আছে যে, নামাজের সময় কথা বলা যায় না।

তবে বোধগম্য নয় এমন কথা বললে নামাজ ভঙ্গ হয় না।বা ইশারায় কিছু বললে নামাজ বাতিল হয়না।

 

অঙ্গ ভঙ্গি করা

এমন কোন অঙ্গভঙ্গি করা যাবেনা যাতে অন্যের দেখে মনে হয় যে আপনি নামাজ পড়ছেন না। নামাজ পড়ার সময় জায় নামাজে সঠিকভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হবে, অযথা কোন অঙ্গভঙ্গি করা যাবেনা।

 

খাওয়া এবং পান করা

নামাজের সময় কোন কিছু খাওয়া বা পান করলে নামাজ বাতিল হয়ে যায়। পরিমাণ যাই ই হোক, হোক তা এক প্লেট বা একটি শস্য পরিমাণ, আপনি নামাজের সময় কিছু খেলে বা পান করলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। নামাজের মধ্য খানে আপনি এক ঢোঁক পানি খেলে ও তা নামাজকে বাতিল করে দেয়।

 

ওযু ভঙ্গ হওয়া

ওযু হল নামাজের মূল বিষয়, আপনি যদি ঠিক মত ওযু না করেন তাহলে আপনার নামাজ ও হবে না। আর নামাজ রত অবস্থায় যদি ওযু কোনভাবে চলে যায় তাহলে ও আপনার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।

 

অট্টহাসি

নামাজের সময় শব্দ করে হাঁসা যাবেনা ,কোন কারণে যদি আপনার হাসি এসে যায় তাহলে আপনার উক্ত রাকাত নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।

 

ভুল সুরাহ পড়া

নামাজ পড়ার সময় যদি আপনার সুরাহ ভুল হয়ে যায় , তাহলে আপনার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। তাই নামাজ পড়ার সময় মনোযোগ সহকারে সুরাহ পড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

রুকু সিজদাহে ভুল

নামাজ পড়ার সময় যদি রুকু সিজদাহে ভুল হয় তাহলে আপনার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে, আপনাকে সঠিকভাবে রুকু সিজদাহ করতে হবে।

 

নিয়াত ভুল করা

 আপনি যদি ফজরের ওয়াক্তে জোহরের নিয়াত করেন বা ফরজ নামাজ পড়ার সময় সুন্নাহের নিয়াত করেন তাহলে অবশ্যই আপনার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। আপনাকে মনোযোগ সহকারে সঠিক নিয়াত করতে হবে।

 

নাপাকি কাপড় পড়া

শুধু ওযু করলেই হয় না, আপনি যে পোশাক পড়ছেন তা ও পরিষ্কার হতে হবে, ময়লা পোশাক পড়ে নামাজ পড়লে নামাজ হয় না। এছাড়া অশালীন ছিঁড়া ফাঁড়া পোশাক পড়ে নামাজ পড়া  যাবেনা ।

 

শেষ কথা

আজকের এই লিখা পড়ে আপনি নামাজ ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। আসলে অনেক ছোট খাট কারণে নামাজ ভঙ্গ হয় যা আমরা বুঝতে ও পারিনা। যদি বিষয়গুলি জানা থাকে তাহলে আপনি সুন্দর মত নিয়ম মাফিক নামাজ পড়বেন এবং নামাজ শুদ্ধ ও হবে। ইনশাআল্লাহ।

 

বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে সাথেই থাকুন। গুগল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এইখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!